প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কবে হবে কোটা ও পরীক্ষার মান বন্টন 2020 DPE

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কবে হবে কোটা ও পরীক্ষার মান বন্টন 2020 DPE কোন পদ্ধতিতে হবে সেই সব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (নিয়োগ শাখা) আতিক এস বি সাত্তার। শনিবার (২৪ অক্টোবর) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কবে হবে কোটা ও পরীক্ষার মান বন্টন 2020 DPE

এবারের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শর্তাবলী, যোগ্যতা, আবেদন ফি, পরীক্ষা পদ্ধতিসহ বেশকিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। যারা আগ্রহী তারা অবশ্যই এই পোস্টের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ে বুঝে তারপর আবেদন করবেন এবং প্রস্তুতী নিবেন।

আতিক এস বি সাত্তার, সহকারী পরিচালক (নিয়োগ শাখা), প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সাথে প্রশ্নোত্তর পর্বটি নিচে উল্লেখ করা হলঃ

১। প্রাথমিক শিক্ষক পরীক্ষা কোন পদ্ধতিতে হবে? কোন অংশে কত নম্বর?

উত্তর : লাখ লাখ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেবেন। বেশিসংখ্যক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা লিখিত আকারে নেওয়াটা বেশ জটিল। সে কারণে এমসিকিউ পদ্ধতিতেই পরীক্ষা হবে। এমসিকিউতে ৮০ নম্বর। এমসিকিউতে যাঁরা পাস করবেন, তাঁদের মৌখিক পরীক্ষায় (২০ নম্বর) অংশ নিতে হবে।

২। পরীক্ষা কয় মাস পর হওয়ার সম্ভাবনা? নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করতে কেমন সময় লাগতে পারে?

উত্তর :আমাদের প্রস্তুতি হচ্ছে মাস তিনেকের মধ্যেই পরীক্ষা নেওয়ার। আর পুরো নিয়োগপ্রক্রিয়া আগামী অর্থবছরের আগে অর্থাৎ জুন মাসের মধ্যে শেষ করাই আমাদের লক্ষ্য। পরবর্তী প্রেক্ষাপট বা পরিস্থিতির কারণে এর হেরফের হতে পারে।

৩। পরীক্ষা কী উপজেলাভিত্তিক হবে? মানে একেক উপজেলায় একেক সময়?

উত্তর : পরীক্ষা অবশ্যই উপজেলাভিত্তিক হবে। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে নিতে গেলে এটাই সবচেয়ে ভালো উপায়।

৪। এবারের নিয়োগের কোটা সম্পর্কে বলুন—

উত্তর : এবারের নিয়োগে ৬০ শতাংশ নারী কোটা, ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা এবং ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রিধারীদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা অন্তর্ভুক্ত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ বিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রিধারীদের জন্য ২০ শতাংশ কোটার ১২ শতাংশ নারী কোটায় (অর্থাৎ ৬০ শতাংশ নারী কোটার মধ্যে এই ১২ শতাংশ বিজ্ঞান কোটাও অন্তর্ভুক্ত আছে), ৪ শতাংশ পুরুষ কোটায় এবং ৪ শতাংশ পোষ্য কোটায় অন্তর্ভুক্ত হবে।

৫। একটি উপজেলায় যে পরিমাণ পদ খালি আছে, তার কত গুণ বেশিসংখ্যক প্রার্থীকে এমসিকিউ পরীক্ষায় টেকানো হবে?

উত্তর : এটা মূলত পরীক্ষা কমিটি নির্ধারণ করে। এর সঙ্গে প্রার্থীর সংখ্যা, শূন্য পদের সংখ্যাসহ কয়েকটি বিষয় সম্পর্কিত। এর আগের নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে লিখিত পরীক্ষা থেকে শূন্য পদের চেয়ে ২.৫ থেকে ৩ গুণ বেশি প্রার্থী নেওয়া হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *