নোয়াখালী ডিসি স্কুল এন্ড কলেজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি 2020

নোয়াখালী ডিসি স্কুল এন্ড কলেজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি 2020 প্রকাশ করছে জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ্যাকাউন্টেন্ট ক্লার্ক পদে নিয়োগ সার্কুলার প্রকাশ করেছে জেলা প্রশাসন। সকল কাগজপত্রসহ আগামী ৩০ মে ২০১৯ তারিখের অফিস চলাকালীন সময়ের মধ্যে আবেদন পত্র পৌঁছাতে হবে।  আবেদন প্রক্রিয়াসহ বিস্তারিত পাবেন নীচের বিজ্ঞপ্তি থেকে।

নোয়াখালী ডিসি স্কুল এন্ড কলেজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি 2020

আবেদনপত্র পাঠানোর শেষ তারিখঃ ৩০ মে ২০১৯

নিয়োগ আবেদন ফরম

 

 আবেদন ফরম ডাইনলোড করুন

নোয়াখালী জেলা’র মর্যাদা পায় ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী কর্তৃক এদেশে জেলা প্রশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় থেকেই। ১৭৭২ সালে কোম্পানীর গভর্ণর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস এদেশে প্রথম আধুনিক জেলা প্রশাসন ব্যবসহা প্রবর্তনের প্রচেষ্টা নেন। তিনি সমগ্র বাংলাদেশকে ১৯টি জেলায় বিভত্তু করে প্রতি জেলায় একজন করে কালেক্টর নিয়োগ করেন। এ ১৯টি জেলার একটি ছিল কলিন্দা। এ জেলাটি গঠিত হয়েছিল মূলতঃ নোয়াখালী অঞ্চল নিয়ে। কিমত ১৭৭৩ সালে জেলা প্রথা প্রত্যাহার করা হয় এবং প্রদেশ প্রথা প্রবর্তন করে জেলাগুলোকে করা হয় প্রদেশের অধীনসহ অফিস।

১৭৮৭ সালে পুনরায় জেলা প্রশাসন ব্যবসহা প্রবর্তন করা হয় এবং এবার সমগ্র বাংলাদেশকে ১৪টি জেলায় ভাগ করা হয়। এ ১৪টির মধ্যেও ভুলুয়া নামে নোয়াখালী অঞ্চলে একটি জেলা ছিল। পরে ১৭৯২ সালে ত্রিপুরা নামে একটি নতুন জেলা সৃষ্টি করে ভুলুয়াকে এর অমতর্ভূত্তু করা হয়। ১৮২১ সালে ভুলুয়া নামে নোয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠভার সময় পর্যমত এ অঞ্চল ত্রিপুরা জেলার অমতর্ভূত্তু ছিল।

আর একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, আধুনিক অর্থে জেলা প্রশাসন ব্যবসহার প্রবর্তন হয় ১৭৯০ সালে। এর পূর্বে কোম্পানীর শাসন বলতে আইনত ছিল শুধু বাংলার দেওয়ানী বা রাজস্ব শাসন। আর নিজামত বা সিভিল প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল বাংলার নবাবের হাতে। জেলা প্রশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এ সময় পর্যমত কোম্পানী কর্তৃক যে সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় তা শুধু রাজস্ব প্রশাসনের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ভূমি রাজস্ব থেকে কোম্পানীর আয় বৃদ্ধির জন্য।

কিমত ১৭৯০ সালে কোম্পানীর গভর্ণর জেনারেল লর্ড কর্ণওয়ালিশ নবাবকে তার নিজামত ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত করেন এবং রাজস্ব প্রশাসনের সাথে সমস্ত ফৌজদারী বিচার ও পুলিশী ক্ষমতা জেলা কালেক্টর এর উপর অর্পন করেন। ফলে সমাপ্ত হয় বাংলার নবাবী এবং প্রতিষ্ঠিত হয় সমগ্র বাংলায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর একচ্ছত্র শাসন। আর এ শাসন পরিচালনার সমূদয় ক্ষমতা কেন্দ্রভূত করা হয় কালেক্টর পরিচালিত জেলা প্রশাসন ব্যবসহায়।

উপরের তথ্যগুলো পর্যালোচনা করা হলে সার-সংক্ষেপ দাঁড়ায় এই যে, বাংলাদেশে জেলা প্রশাসনের সূত্রপাত হয়১৭৭২ সালে সরকারের প্রতিভূ হিসেবে শুধুমাত্র রাজস্ব প্রশাসন পরিচালনার জন্য। কলিন্দা নামে তখন নোয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। কিমত পরের বছব জেলা হয়ে যায় প্রদেশের অধীনসহ প্রশাসনিক ইডনিট। ১৭৮৭ সালে জেলা প্রশাসন ব্যবসহা পূনঃ প্রবর্তন করা হলে ভুলুয়া নামে নোয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৭৯০ সালে আধুনিক জেলা প্রশাসন ব্যবসহা প্রবর্তিত হয় এবং তখনও ভুলুয়া নামে নোয়াখালী জেলা বিদ্যমান ছিল। কিমত ১৭৯২ থেকে ১৮২১ পর্যমত নোয়াখালী ছিল ত্রিপুরা জেলার অমতর্গত। ১৮২১ সালে পূনরায় জেলার মর্যাদা নিয়ে ভুলুয়া নামে নোয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পরের বছর অর্থাৎ ১৮২২ সালে নোয়াখালী জেলার পূর্নাঙ্গ জেলা প্রশাসন ব্যবসহা প্রবর্তিত হয়।

উপসংহারে বলা যায় যে, নোয়াখালী জেলা সৃষ্টি হয় ১৭৭২ সালে। মাঝে ২৯ বছর (১৭৯২-১৮২১) বিরতির পর ১৮২১ সালে পূনরায় নোয়াখালী জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। যদিও পূর্ণাঙ্গ জেলা প্রশাসন ব্যবসহা প্রবর্তিত হয় পরের বছর। উপরোত্তু আলোচনা প্রতীয়মান হয় যে, আধুনিক নোয়াখালী জেলা ও জেলা প্রশাসন ১৭৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *