উপবৃত্তির টাকা কিভাবে পাবেন, কখন দিবে, কিসের মাধ্যমে দিবে আসব নিয়ে কত প্রশ্ন আমাদের আজকে আমরা এই সকল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে হাজির হয়েছি। সম্প্রতি সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি তাদের বিজ্ঞপ্তিতে উপবৃত্তি প্রাপ্ত সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি প্রদানের খসরা অনুমদন করেছে। যেখানে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত লাখ লাখ শিক্ষার্থী তাদের নগদ হিসাবে এই উপবৃত্তি পেতে চলেছে।
প্রতি বছর বাংলাদেশ সরকার দরিদ্র ও মেধাবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোটি কোটি টাকা শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করে থাকে। শুধু তাই নয়, শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সহায়তা এবং অর্থের অভাবে যারা স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না তাদের জন্য প্রধান মন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে অর্থ সরবরাহ করা হয়। এখানে বলে রাখা ভালো আপনি যদি এগুলোর মধ্যে আবেদন করেন তাহলে আপনিও এই উপবৃত্তি পেতে পারেন।
চলুন তাহলে এই উপবৃত্তি কিভাবে পাবেন তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। আপনারা যারা আবেদন করতে চান উপবৃত্তির জন্য তারা অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ে তারপর আবেদন করবেন।
উপবৃত্তির টাকা কিভাবে পাবেন_
উপবৃত্তির টাকা চাইলেই সবাই পাবেন না এটা সঠিক। কারণ বাংলাদেশ সরকার উপবৃত্তির টাকা শুধু মাত্র গরিব ও মেধাবি শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ রাখে। উপবৃত্তির টাকা পেতে হলে প্রথমে আপনাকে কোনো একটি স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হবে এর পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে প্রত্যয়ন পত্র নিতে হবে এবং অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
এর পর আপনি যদি উপবৃত্তির জন্য নির্বাচিত হয়ে থাকেন তাহলে নির্দিষ্ট সময়ে আপনার মোবাইল ব্যাংকিং নাম্বারে টাকা চলে আসবে। এখন প্রশ্ন হলো তাহলে কিভাবে উপবৃত্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হয়? চিন্তার কোন কারণ নেই, নিচে আমরা উপবৃত্তির ৩টি কাঠামতে কিভাবে আবেদন করবেন তার বিস্তারিত দেওয়া হলো।
উপবৃত্তি প্রাপ্তির শর্তাবলি
(ক) স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে অধ্যয়নরত নিয়মিত শিক্ষার্থী হতে হবে;
(খ) শ্রেণিকক্ষে কমপক্ষে ৭০% উপস্থিতি থাকতে হবে;
(গ) শিক্ষার্থীকে পূর্বের পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে শতকরা ন্যূনতম ৬০ ভাগ নম্বরপ্রাপ্ত/জিপিএ ৫.০০ স্কেলে ৩.৭৫/সিজিপিএ ৪.০০ স্কেলে ৩.০০ প্রাপ্ত হতে হবে;
(ঘ) পিতা/মাতা/অভিভাবকের বাৎসরিক আয় ২ (দুই) লক্ষ টাকার কম হতে হবে;
(ঙ) প্রজাতন্ত্রের বেসামরিক কর্মে নিয়োজিত সকল সরকারি-আধাসরকারি-স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ‘জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫’ অনুযায়ী ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের সকল কর্মচারীর সন্তান উপবৃত্তি প্রাপ্তির যোগ্য বিবেচিত হবে; এবং
(চ) বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী, এতিম শিক্ষার্থী, তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থী, ভূমিহীন পরিবারের সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তান, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এবং দুস্থ পরিবারের সন্তান উপবৃত্তি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে।
উপবৃত্তির পরিমাণ
শ্রেণি (স্নাতক ও সমমান) | উপবৃত্তির হার (টাকা) | মোট টাকা | বই ক্রয় | পরীক্ষার ফিস | সর্বমোট |
১ম বর্ষ | ২০০/- x ১২ (মাস) | ২৪০০/- | ১৬০০/- | ১০০০/- | ৫,০০০/- |
২য় বর্ষ | ২০০/- x ১২ (মাস) | ২৪০০/- | ১৬০০/- | ১০০০/- | ৫,০০০/- |
৩য় বর্ষ | ২০০/- x ১২ (মাস) | ২৪০০/- | ১৬০০/- | ১০০০/- | ৫,০০০/- |
৪র্থ বর্ষ | ২০০/- x ১২ (মাস) | ২৪০০/- | ১৬০০/- | ১০০০/- | ৫,০০০/- |
৫ম বর্ষ* | ২০০/- x ১২ (মাস) | ২৪০০/- | ১৬০০/- | ১০০০/- | ৫,০০০/- |
উপবৃত্তির জন্য অনলাইনে আবেদনের নিয়ম
উপবৃত্তির জন্য অনলাইনে আবেদনের আগে নির্ধারিত করেন নিন আপনি কোন পর্যায়ে আবেদন করতে চান_
১। সমন্বিত উপবৃত্তি
২। ভর্তি সহায়তা
৩। চিকিৎসা সহায়তা
১। সমন্বিত উপবৃত্তি
সমন্বিত উপবৃত্তি হলো মাধ্যমিক থেলে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত একসাথে যে উপবৃত্তি প্রদান করা হয় সেটি। অর্থাৎ আমরা যেটাকে আসল উপবৃত্তি নামে জানি সেটি হলো সমন্বিত উপবৃত্তি বা মেধা বৃত্তি। সমন্বিত উপবৃত্তি কিভাবে পাবেন? জানুন!
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
১। ছবি
২। স্বাক্ষর
৩। জন্ম নিবন্ধন সনদ
৪। অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র
৫। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানপ্রধানের সুপারিশ (নির্ধারিত ফর্মে)
৬। পিতা মাতা/অভিভাবকের কর্মরত প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যয়ন পত্র/সুপারিশ (৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর সন্তানগণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)
আবেদনের নিয়ম
উপবৃত্তির জন্য অনলাইনে আবেদনের পূর্বে উপরের সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করে হাতের কাছে রাখুন / ছবি তুলে নিজের কাছে রাখুন ( ছবি অবশ্যiই স্পষ্ট হতে হবে)।
১। সমন্বিত উপবৃত্তির আবেদন করতে হলে প্রথমে আপনাকে (https://hspbd.com/) এই ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
২। এরপর আপনার যদি কোন অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে একটি নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে নিন।
৩। এখন (আবেদন করুন) অপশনটিতে ক্লিক করুন, দেখবেন একটি ফরম চলে আসেছে।
৪। আবার প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে আগে থেকে ছবি উঠানো ফাইল গুলো নির্ধারিত স্থানে আপলোড করুন।
৫। সবকাজ শেষ হলে সাবমিট করুন। এখন অনুমদনের জন্য অপেক্ষা করুন। আপনার কাজ এখানেই শেষ। আবেদনের ৬ মাসের মধ্যেই অর্থ পেয়ে যাবেন।
২। ভর্তি সহায়তা
ভর্তি সহায়তান হলো অনেকে গরিব ও মেধাবি শিক্ষার্থী রয়েছে যারা অর্থের অভাবে কলেজ, বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না এটি তাদের জন্য প্রযোজ্য তবে বলে রাখা ভালো এটি শুধু মেধাসবিদের জন্য এবং সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
১। ছবি
২। স্বাক্ষর
৩। জন্ম নিবন্ধন সনদ
৪। অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র
৫। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানপ্রধানের সুপারিশ (নির্ধারিত ফর্মে)
৬। পিতা মাতা/অভিভাবকের কর্মরত প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যয়ন পত্র/সুপারিশ (৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর সন্তানগণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)
আবেদনের নিয়ম
উপবৃত্তির জন্য অনলাইনে আবেদনের পূর্বে উপরের সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করে ছবি তুলে নিজের কাছে রাখুন ( ছবি অবশ্যiই স্পষ্ট হতে হবে)।
১। সমন্বিত উপবৃত্তির আবেদন করতে হলে প্রথমে আপনাকে (https://www.eservice.pmeat.gov.bd/admission/home) এই ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
২। এরপর আপনার যদি কোন অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে একটি নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে নিন।
৩। এখন (আবেদন করুন) অপশনটিতে ক্লিক করুন, দেখবেন একটি ফরম চলে আসেছে।
৪। আবার প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে আগে থেকে ছবি উঠানো ফাইল গুলো নির্ধারিত স্থানে আপলোড করুন।
৫। সবকাজ শেষ হলে সাবমিট করুন। এখন অনুমদনের জন্য অপেক্ষা করুন। আপনার কাজ এখানেই শেষ। আবেদনের ৬ মাসের মধ্যেই অর্থ পেয়ে যাবেন।
৩। চিকিৎসা সহায়তা
এটি শুধু মাত্র তাদের জন্য যারা দরিদ্র এবং কোন কারণে তার চিকিৎসার প্রয়োজন হলে অর্থাৎ শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় যদি কোন মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে এই ট্রাস্টের মাধ্যমে তাকে সহায়তা প্রদান করা হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
১। ছবি
২। স্বাক্ষর
৩। জন্ম নিবন্ধন সনদ
৪। অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র
৫। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানপ্রধানের সুপারিশ (নির্ধারিত ফর্মে)
৬। পিতা মাতা/অভিভাবকের কর্মরত প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যয়ন পত্র/সুপারিশ (৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর সন্তানগণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)
আবেদনের নিয়ম
উপবৃত্তির জন্য অনলাইনে আবেদনের পূর্বে উপরের সকল কাগজপত্র সংগ্রহ করে ছবি তুলে নিজের কাছে রাখুন ( ছবি অবশ্যiই স্পষ্ট হতে হবে)।
১। সমন্বিত উপবৃত্তির আবেদন করতে হলে প্রথমে আপনাকে (https://www.eservice.pmeat.gov.bd/medical/) এই ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
২। এরপর আপনার যদি কোন অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে একটি নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে নিন।
৩। এখন (আবেদন করুন) অপশনটিতে ক্লিক করুন, দেখবেন একটি ফরম চলে আসেছে।
৪। আবার প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে আগে থেকে ছবি উঠানো ফাইল গুলো নির্ধারিত স্থানে আপলোড করুন।
৫। সবকাজ শেষ হলে সাবমিট করুন। এখন অনুমদনের জন্য অপেক্ষা করুন। আপনার কাজ এখানেই শেষ। আবেদনের ৬ মাসের মধ্যেই অর্থ পেয়ে যাবেন।
সর্বশেষ, সর্বপ্রথমে প্রতিষ্ঠানপ্রধান কর্তৃক সুপারিশ গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ফরম ডাউনলোড করুন। তারপর প্রিন্ট করে পূরণ করুন ও আপনার চিকিৎসক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নিকট থেকে সুপারিশ গ্রহণ করুন। অতঃপর ছবি, স্বাক্ষর, জন্মসনদ, অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র ও সুপারিশের কপি স্পষ্ট করে ছবি তুলুন।
যদি প্রথম মেরিট লিস্টে মাইগ্রেশন হয়ে বিষয় পরিবর্তন হয়। আর আমি যদি আগের সাবজেক্ট চাই এবং ফ্রম জমা না দিয় তাহলেই কি আমার আগের সাবজেক্ট থাকবে কি ?